হাওরে ইজারা প্রথা বন্ধের দাবি
- আপলোড সময় : ০২-০২-২০২৫ ১২:৩৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০২-০২-২০২৫ ১২:৩৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
হাওরে ইজারা প্রথা বন্ধের দাবি জানিয়েছে ‘হাওর উন্নয়ন আন্দোলন’। এছাড়াও হাওর এলাকার টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে মোট ১১ দফা প্রস্তাব জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘হাওর ও হাওরবাসীর সংকট-সমস্যা সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব দাবি জানান।
হাওর উন্নয়ন আন্দোলনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা এতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পেনসন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন খান, সাবেক সচিব কারার মাহমুদুল হাসান, আ. ওয়াহাব, সাবেক অতি. সচিব ড. মো. এমদাদুল হক প্রমুখ।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন খান বলেন, হাওরে ইজারা প্রথা বন্ধ করতে হবে, ইজারাকৃত জায়গাগুলো উদ্ধার করে সেগুলোকে মাছের অভয়ারণ্য ঘোষণা এবং এসব জায়গায় মাছ ধরা স¤পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। এতে করে এসব স্থান দেশের বৃহৎ প্রজনন কেন্দ্র হতে পারে। পরবর্তীতে এসব পোনা সারা হাওরে ছড়িয়ে যাবে। এছাড়া হাওর অঞ্চলে একটি কৃষি ও জলবায়ু বিশেষায়িত বিশ্ববদ্যালয়, আঞ্চলিক ধান গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের আহ্বানও জানান তিনি।
সভায় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রায় ২৪ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত হাওর অঞ্চল দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ মানুষের বাসস্থান। এখানকার প্রধান জীবিকা কৃষি ও মৎস্য আহরণ। দেশের মোট ধান উৎপাদনের এক-পঞ্চমাংশ আসে এই অঞ্চল থেকে। তবে বর্ষাকালে হাওরগুলো ১০ থেকে ১৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়, যা কৃষি ও বসবাসের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, হাওরের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এক ফসলি কৃষি ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা, অকাল বন্যায় ফসলহানি, মৌসুমী অভিবাসন, মহাজনি ঋণের প্রভাব, মৌলিক সেবার অভাব, নিরাপত্তাহীনতা এবং দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এ সময় হাওর উন্নয়নে ১১ দফা প্রস্তাব পেশ করা হয় হাওর উন্নয়ন আন্দোলনের পক্ষ থেকে। দাবিগুলো হলো-
১. অকাল বন্যা প্রতিরোধে নদী-নালা ও খাল-বিল খনন, ফসলরক্ষায় মাটির বাঁধ নির্মাণ। ২. প্রকৃত মৎস্যজীবীদের জলমহল ইজারা ও শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন। ৩. কৃষকদের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, প্রণোদনা, ন্যায্য মূল্য ও সমবায় বাজার। ৪. ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য শস্য বীমা চালু। ৫. ফসল পরিবহনে সাবমারসিবল ও উড়াল সড়ক নির্মাণ। ৬. কৃষিভিত্তিক শিল্পে স্বল্প সুদে ঋণ ও বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ। ৭. কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা স্থাপন, সহজ শর্তে ঋণ। ৮. কৃষি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। ৯. আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ ও চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি। ১০. খাস জমি ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে বিতরণ। ১১. দারিদ্র্য বিমোচন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ